অবাধ লুঠের স্বর্গরাজ্য রাতুরিয়া অঙ্গদপুর শিল্প তালুকের বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলি
- বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলি থেকে চলছে অবাধে লোহা এবং দামী দামী যন্ত্রান্শ চুরির কারবার । এই লোহা মাফিয়াদের দাপট এতই বেশি যে দিনেরবেলা মাল পাচার করতেও তাঁদের কোনো দ্বিধা নেই । শনিবার ভোরবেলায় এইরকমই লোহা ভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি যন্ত্রচালিত ভ্যান রিক্শা আটক করেন অঙ্গদপুর হেডকোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দারা । এরপরই চোরাই লোহা ভর্তি গাড়ী দুটিকে ছেড়ে দেবার দাবি জানাতে ঘটনাস্থলে আসেন কিছু মহিলা । এর প্রতিবাদ করেন প্রাক্তন পুরপিতা অরবিন্দ নন্দির নেতৃত্বে এলাকার সাধারন মানুষ । বাড়ে উত্তেজনা ।
গাড়ীদুটি ভোরবেলায় ধরা পরলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বেলা এগারোটা নাগাদ । স্থানীয় মানুষজনের দাবি পুলিশের সংগে আঁতাত করেই দিনের পর দিন এই লুঠ চলছে । গাড়ির সঙ্গে আটক করা তিন দুষ্কৃতীর একজন সত্যপ্রকাশের কথাতেই মেলে পুলিশ দুষ্কৃতী যোগযোগের প্রমান কারন ক্যামেরার সামনে সত্যপ্রকাশ জানান যদি কখনো পুলিশ তাঁদের গাড়ি ধরে তখন উমেশের নাম করলেই পুলিশ গাড়ি ছেড়ে দেয় ।
এখন প্রশ্ন কে এই উমেশ ? ? উত্তর– কোক ওভেন পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন শ্যামপুর এলাকায় একটি লোহার কাঁটার মালিক । তবে তার নাম শুনে পুলিশ কেন চোরাই লোহা ভর্তি গাড়ি ছেড়ে দেয় তা জানেনা আটক দুষ্কৃতী সত্যপ্রকাশ । প্রসঙ্গত এটা জানিয়ে রাখা দরকার যে শুধু উমেশের ব্যবসাক্ষেত্র নয় বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাস্ক কারখানাটিও কোক ওভেন পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন এলাকাতেই অবস্থিত ।
সাধারন মানুষ প্রশ্ন করছে এই ভাবেই কি চলবে অবাধে লুটপাট ।
0
